Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / চট্টগ্রাম / জলাশয় লিজ দিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

জলাশয় লিজ দিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী

February 01, 2023 06:07:00 PM   দেশজুড়ে ডেস্ক
জলাশয় লিজ দিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদরে একটি ব্যবসায়ী পরিবার ইজারাদারদের ভয়ে নিজেদের মালিকনাধীন জমিতে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে তারা অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করে সু-বিচার পেতে ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন শিমুল তার বড় ভাই জসিম উদ্দিন ও ছোট ভাই সাদ্দাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১১ জানুয়ারি বুধবার লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। অভিযোগটি তদন্তের করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ। ভুক্তভোগী শিমুল সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের মৃত আবদুর রব চৌধুরীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামে শিমুলদের মালিকানাধীন ২ একর জমিতে দুটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়গুলো ২০২০ সালের ৯ জুলাই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৫ বছরের জন্য পাশ্ববর্তী গ্রামের ফয়েজ ইসলাম আবেদ, নাজিম রহমান ও সালাহউদ্দিন রাজুর কাছে ইজারা দেওয়া হয়। তখন তারা ১ লাখ টাকা দেয়। ২ বছর পার হলেও তারা বাকি ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়নি। ইজারাদাররা ওই জমিতে থাকা গাছপালা ও জলাশয়ের মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এসবের কারণ জানতে চাইলে ও বাকি টাকা চাইলে ইজারাদাররা শিমুলদের মারধরের হুমকি দেয়। এতে পাশের অন্য জমি দেখতে যেতে পারছে না শিমুলসহ তার তিন ভাই।

অভিযুক্ত ফয়েজ ধর্মপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে, নাজিম চরমনসা গ্রামের শাহ জালালের ছেলে ও রাজু ধর্মপুর গ্রামের আবদুর রহিম পাটওয়ারীর ছেলে।

অভিযুক্ত ফয়েজ ইসলাম আবেদ ও মো. রাজু জানায়, মাছ চাষের জন্য শিমুলদের কাছ থেকে তারা জলাশয় ইজারা নেয়। তখন তিনভাগে শিমুলদেরকে ১ লাখ ৬০ হাজার দেওয়া হয়েছে। টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর তারা স্ট্যাম্প দেয়। এতে দুটি স্ট্যাম্পে ১ লাক ২০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়। বাকি টাকার কথা তারা উল্লেখ করেনি। এদিকে ইজারার মেয়াদ শেষ না হতেই শিমুলরা অন্যের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এতে জমির কথিত মালিক আবদুল মতিন তাদেরকে জলাশয় থেকে মাছ ধরতে দিচ্ছে না। দুই বছর আগে জমির পাশের আবদুল হামিদরা মাটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি শিমুলকে তখনই জানানো হয়েছে। এখন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। শিমুলদেরকে মারধরের হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন জানান, আমাকে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে। তাদের বসে ঘটনাটি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।