Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / ঝিনাইগাতীতে প্রবাসীর পরিবারের ওপর হামলা করে জমি দখলের পাঁয়তারা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ঝিনাইগাতীতে প্রবাসীর পরিবারের ওপর হামলা করে জমি দখলের পাঁয়তারা

January 13, 2025 08:11:59 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইগাতীতে প্রবাসীর পরিবারের ওপর হামলা করে জমি দখলের পাঁয়তারা

ঝিনাইগাতীতে  প্রবাসীর পরিবারের উপর হামলা করে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে  মালেশিয়া প্রবাসীর বসতবাড়িতে পরিবারের উপর হামলা করে বসত জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে স্থানীয়  দলিল লেখক আকবর আলী সরকারের যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটে বলে থানায় দাঁয়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে গেলে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও তার সহোদর ছোট ভাই আব্দুল্লাহ'র পরিবারের মধ্যে ছোটখাটো নানা বিষয়াদি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার গ্রাম্য বৈঠক হলেও কোনো ফলাফল হয়নি। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় একই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ও স্থানীয়  দলিল লেখক আকবর আলী সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায়। তার প্ররোচনায় পারিবারিক কলহ তীব্র আকার ধারণ করে।

শুক্রবার সকালে আকবর আলীর নেতৃত্বে আব্দুল্লাহ গং দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় আজিজুল ইসলামের বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়ির একাধিক সদস্যকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এছাড়াও বসতবাড়ি ভাঙচুর ও সাবমার্সিবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আজিজুল ইসলামের চার ছেলে বর্তমানে তারা মালয়েশিয়ায় প্রবাসী। তাদের অনুপস্থিতিতে সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন,প্রবাসী শামীমের স্ত্রী আয়শা ছিদ্দিকা। ওই হামলার পর আয়শা ছিদ্দিকা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আয়শা ছিদ্দিকা বলেন, "আমাদের বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। হামলার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
তিনি সরকারের কাছে তার  জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।

প্রধান অভিযুক্ত দলিল লেখক আকবর আলী সরকার জানান, "কারো সাথে কথা বলা অপরাধ নয়। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।"

অন্যদিকে, আব্দুল্লাহ দাবি করেন, "জমিটি আমাদের নানীর সম্পত্তি। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসেবে আমি সেটি প্রাপ্য ।"

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,  এ ঘটনার পর উভয় পক্ষ থেকে কেউ আমার সাথে যোগাযোগও করেনি।

থানার এস.আই  মো. আবুল খায়ের জানান, "অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।