
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেলিম ও মালি জুয়েল -এই দুই ভাইয়ের বেতন গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদ্যবিদায়ী ইউএনও মাসুদ রানা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান না থাকায় তাদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। তবে দেশের অন্যান্য উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ১ মে মালি হিসেবে মাস্টার রোলে উপজেলা পরিষদে যোগদান করেন শহরের কালিনগর মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে জুয়েল। ২০১৬ সালের ১৯ মে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে যোগদান করেন তার ভাই সেলিম। তারা দৈনিক ১৫০ টাকা হারে ভাতা নিয়ে কর্মরত ছিলেন, যা বর্তমানে ৫৫০ টাকা হয়ে গেছে। গত ৫ মে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে। এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাদের বেতন আটকে যায় এবং গত তিন মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা বারবার ইউএনও’র কাছে বেতন পরিশোধের অনুরোধ করলেও ইউএনও তাদের জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান না থাকায় বেতন প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। তবে অন্যান্য উপজেলায় একই পদে নিয়োগকৃত কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের বেতন বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য হয়তো আমাদের পদ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা, যাতে তিনি তার পছন্দের কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন।”
এ বিষয়ে জানতে সদ্যবিদায়ী ইউএনও মাসুদ রানার বর্তমান কর্মস্থল বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।