Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / খুলনা / দৌলতপুরের ভূমি অফিসে ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে সেবা! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

দৌলতপুরের ভূমি অফিসে ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে সেবা!

July 26, 2022 03:33:12 AM  
দৌলতপুরের ভূমি অফিসে ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে সেবা!

দৌলতপুর সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া:
দৌলতপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ভূমি সেবায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। যে অফিসের আঙিনা যেখানে যেখান দালাল দ্বারা বেষ্টিত ছিল, আজ সেখানে অনেকটা দালালমুক্ত। সময়ের ব্যাবধানে এসেছে পরিবর্তন। একসময় জমি খারিজ বা নাম জারির জন্য সাধারণ জনগণকে ঘুরতে হতো মাসের-পর-মাস আজ সেখানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাওয়া যাচ্ছে নাম খারিজের কাগজ। পূর্বে নাম খারিজের  আবেদন করার ২৮ দিন পরে জানা যেতো কোন  কাগজে সমস্যা আছে কিনা  বা আরও তথ্য সম্বলিত কি কি কাগজ লাগবে সেই সকল তথ্য এখন আবেদন করার দিনেই পাওয়া যায়। সরেজমিনে সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলা আয়তনের দিক থেকে অনেক বড় একটি উপজেলা হওয়ায় এর জনসংখ্যা একদিকে যেমন অনেক বেশি তেমনি ভূখণ্ডের পরিমাণের দিক থেকেও কম নয় আবার এই উপজেলার বড় একটি অংশ চরাঞ্চল ও সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় জমিজমা বিষয়ক সমস্যা যেন কোন ভাবেই পিছন ছাড়ে না। আর এই সকল বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সহকারী ভূমি কমিশনার আফরোজ শাহীন খসরু দৌলতপুরের  পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম সব অভিনব পদ্ধতি। যা ইতিমধ্যে তাক লাগিয়েছেন দৌলতপুর বাসীসহ দেশের বিভিন্ন মানুষদেরকে। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে এবং দ্রুত ভূমি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ভূমি অফিসে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অনলাইন পদ্ধতিতে ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে সমাধান করা হচ্ছে জমি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান।

সহকারী ভূমি কমিশনার আফরোজ শাহীন খসরু জানান, দালাল থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা ও ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কার্যালয়ের চারিদিকে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা আনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও দালাল থেকে দূরে থাকার জন্য মাসব্যাপী করেন প্রচার মাইকিং এর ব্যবস্থা। এছাড়াও লিফলেট বিতরণ, পোস্টার প্রদর্শন, অনলাইন প্রত্যয়ন ও ওয়ারিশ কায়েম সনদ প্রদান কার্যক্রম, অনলাইনে মিসকেসের শুনানি গ্রহণ, দীর্ঘ ২৮ দিন অপেক্ষা পর নামজারী আবেদন তথ্য ঘাটতি বা বিভ্রাটের কারণে বাতিল হলে সেবাগ্রহিতার সময় ও শ্রম অপচয় হয়। এই সমস্যা থেকেও উত্তরণে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবেদন গ্রহণের সময়ই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে আবেদনকারীকে। পরবর্তীতে হোল্ডিং এ আবেদিত জমির সঠিকতা পাওয়া গেলে ০২ সপ্তাহের মধ্যেই নামজারী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।

এমন ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দৌলতপুরের সাধারন জনগন আস্থার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন সহকারী ভূমি কমিশনার আফরোজ শাহীন খসরু। দৌলতপুরের কিছু কিছু  স্থানীয় জনগণের সাথে কথা হলে তারা জানান, জমিজমার বিষয়ে সমাধান করার বিষয়টি এক সময় অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু নতুন কমিশনার আসার পর তা অনেকটাই সহজ হয়েছে।