
রংপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ছেলেকে ফিরে না পাওয়ায় হতাশা উদ্বিগ্নে দিশেহারা বৃদ্ধ পিতা বীর মুক্তিযাদ্ধা (অব. সেনা সদস্য) সাইদুর রহমানসহ তাঁর পরিবার। সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে ফিরে পেতে আকূতি জানিয়েছেন তার পরিবার।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে রিপার্টার্স ক্লাব রংপুর- এ অপহরণ হওয়া ছেলে কাওছার হাসান (সাদী) কে উদ্ধারের জন্য এ সংবাদ সম্মলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে সাদী’র পিতা বীর মুক্তিযাদ্ধা সাইদুর রহমান বলেন, আমার বাড়ী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজলার ইমাদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর দিগর গ্রামে। গত ২১ মে দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে আমার নিজ বাড়ি থেকে আমার ছেলে কাওছার হাসান ওরফে সাদি (৩০) কে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধা জেলার সুদরগঞ্জ উপজলার বামনডাঙ্গা সুইচগেইট মোড়ে 'সাদী টেলিকম' দোকানের কথা বলে একটি নোহা মাইক্রো যোগে নিয়ে যায়। সেই থেকে আজ ১০ দিন অতিবাহিত হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরও বলন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর তার কোন খাঁজ পাওয়া না গেলে ঘটনার ৬ দিনের মাথায় মিঠাপুকুর থানা কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়রীর পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মে একটি সাধারণ ডায়রী করি। যার সাধারণ ডায়েরি নং-২০৩৮।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন প্রশ্নের জবাবে অপহৃত সাদীর পরিবারের পক্ষে তার পিতা বীরমুক্তিযাদ্ধা সাইদুর রহমান, বৃদ্ধা মা আফরোজা বলেন, আমার ছেলে সাদী বয়স ৩০ বছর। দীর্ঘ এই সময় তার নামে কোনো ধরনের অভিযাগ আমরা শুনিনি। বরং সে একজন পরহেজগার মানুষ। সেদিন হঠাৎ বাড়িতে কয়েকজন লোক এসে ছেলের দোকানে জরুরি কাজ আছে বলে ঠেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। আমার ছেলেকে বের করে দেন বলে কান্নায় ভেঙে পরেন মা আফরোজা।
এসময় অপহৃত সাদীর স্ত্রী হাসনা বেগমসহ তার দুই শিশু সন্তান আছিয়া (৬) ও মোহাম্মদ আলী (২) বাবাকে ফিরে পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এসময় সাদীর মেয়ে শিশু আছিয়া তার বাবার ছবি হাতে নিয়ে বলেছিল 'আমার বাবাকে এনে দেন'। সংবাদ সম্মলন চলাকাল সাদীর পরিবার-পরিজনের মধ্যে কান্নায় নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমানর সাথে ফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগের চষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে সংশ্লিষ্ট জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা জিডির প্রাথমিক তথ্যানুসার ঘটনাস্থলে যাই এবং সাদীর বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করি। তার বিরুদ্ধে খারাপ কোন অভিযাগ পাইনি। তাকছ উদ্ধারে আমাদরে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।