
নারায়ণগঞ্জে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে “জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ বন্দর একরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা হেযবুত তওহীদ নারী বিভাগ।
বন্দর থানা হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক কিরণ ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাওন অংকন। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক ও দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে রূফায়দাহ পন্নী বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি, হুজুগ-গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রেখে যাচ্ছে বলে দাবি করেন এই নারী নেত্রী।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি মো. আলী হোসেন, একরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, নাসিক এর ২৩ নং ওয়ার্ড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম, হেযবুত তওহীদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. আরিফ উদ্দিন, একরামপুর ইস্পাহানি বড় জামে মসজিদ ও বাইতুল আমান জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন প্রধান, হেযবুত তওহীদেও নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী বিষয়ক সম্পাদক উম্মতিযান মাখদুমা অনি, সিলেট বিভাগীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার দিপা, ফতুল্লা থানা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম, বন্দর থানা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আজগর আলীসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকাকর্মীবৃন্দ।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, রসুল (সা.) এর যুগে নারীরা শালীনতার সাথে সব ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। চিকিৎসা সেবা, বাজার ব্যবস্থাপনা এমনকি যুদ্ধ পর্যন্ত করেছেন। বর্তমানে একটি ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে নারীকে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি করে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নারীদের অধিকার হরণ করছে। সর্বত্র ধর্মের নামে চলছে- ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার মত ঘৃণিত কাজ। নারীদের অধিকার ও ধর্মের নামে চলমান সকল প্রকার অধর্মের বিরুদ্ধে নারীদের অবস্থান নিতে হবে। এক্ষেত্রে নারীদেরই জাগতে হবে এবং সকল নারীদের জাগাতে হবে।