Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / নাশকতা মামলার আসামি হলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

নাশকতা মামলার আসামি হলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

March 16, 2025 09:44:17 PM   অনলাইন ডেস্ক
নাশকতা মামলার আসামি হলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

নিয়ম উপেক্ষা করে নেত্রকোনার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নাশকতা মামলার আসামি শফিকুল আলম খসরুকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ফেসবুকসহ স্থানীয় মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী পন্থী এই শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মামলার তথ্য গোপন করে তিনি প্রথমবারের মতো এই পদে নিয়োগ নেন, কিন্তু বিকেলেই তা বাতিল করা হয়। তবে সম্প্রতি তিনি পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার দাবি করেছেন, যদিও এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত নিয়োগপত্র দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে শিক্ষক শফিকুল আলম খসরু বলেন, "গত বৃহস্পতিবার আমাকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিয়োগ পেলেও একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। পরে মাউসি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে পুনরায় আমাকে নিয়োগ দিয়েছে।"

তবে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিয়ম অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। কারণ সরকারি বিধি অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক ফৌজদারি মামলার আসামি হলে তিনি এই পদে নিয়োগের যোগ্যতা হারান।

কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) ওমর কাইয়ুম জানান, শিক্ষক শফিকুল আলম খসরুর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর কেন্দুয়া সরকারি কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শফিকুল আলম খসরুর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়, যার কারণে তিনি নিয়মত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্য নন। দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর এই পদে নিয়োগ পাওয়ার কথা।

কলেজের একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, শফিকুল আলম খসরু আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অতীতে নানা সুবিধা নিয়েছেন এবং বিরোধীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতা মামলার তথ্য গোপন করে প্রথম দফায় নিয়োগ নেওয়ার পর এবারও তদবির ও প্রভাব খাটিয়ে একই পদে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয়দের মতে, কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি এবং নীতিমালার ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত।