
রাজবাড়ী জেলার পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের হাজারো মানুষের। ভাঙনে ইতোমধ্যে অনেক দোকানপাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। বিশেষত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৪ নম্বর পন্টুন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের পারাপারে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে পদ্মা নদীর পানি কমার কারণে ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে ৪ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ভাঙন এতটাই তীব্র হয়েছে যে পন্টুনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪০ বস্তা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করেছে, তবে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
নদীর পাড়ের মানুষজন গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে জানান, তারা রাতে সঠিকভাবে ঘুমাতে পারছেন না, কারণ ভাঙনের কারণে তাদের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। দোকানদার মনির ফকির বলেন, "হঠাৎ ঘাট ভেঙে যাওয়ার কথা শুনে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।" এছাড়া স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। তবে, ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন।