Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালালের আর্থিক লেনদেনের ভিডিও ফাঁস! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালালের আর্থিক লেনদেনের ভিডিও ফাঁস!

June 12, 2022 10:47:49 PM  
পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালালের আর্থিক লেনদেনের ভিডিও ফাঁস!

আকাশ মাহমুদ, পাংশা সংবাদদাতা, রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের আর্থিক লেনদেনের একটি ভিটিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। তবে এটি চাঁদাবাজি নয় বলে দাবি করেন জালাল উদ্দিন।

ভিডিওটি ফেসবুকে পোষ্ট করা বিভিন্ন আইডির মধ্যে একটি আইডির ভিডিও ডিসক্রিপশনের লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো, রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা নিজ কক্ষে বসে, সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে, আমরা রাজবাড়ি, পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দির সাধারণ জনগণ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং পাংশা মডেল থানা প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এর যেন সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হয়।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোন এক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে জালাল উদ্দিন। এছাড়াও এক নারীর কন্ঠে শোনা যায়, এটা আমার অনেক কষ্টের টাকা এটা আমি মন থেকে দিলাম না, এ টাকার দাবী আমার থাকবে, আমার ৫ মাস কষ্ট করতে হবে ইত্যাদি। ভিডিওটি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের একটি কক্ষের বলে মনে করছেন সকলেই।

তবে এ ঘটনায় সংবাদ প্রতিঘন্টার পক্ষ থেকে ভুক্তভুগী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী লাকি খাতুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি পোষ্ট করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে নানা ভাবে অপমানিত করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে এমন ৭টি ফেসবুক আইডি চিহ্নিত করে শুক্রবার (১০ জুন) পাংশা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন জালাল বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, জেলা পরিষদ রাজবাড়ী, পাংশা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের ৩ নং ক্ষতিয়ানের ৩২৪ নং দাগের ৫ শতাংশ জমি ২০২১ সালের ২৯ জুন আমার অনুকুলে ৩১ হাজার ৩শত ৬৩ টাকা মূল্যে লিজ প্রদান করেন। যার চালান নং-২২৫। পরবর্তীতে একই খতিয়ানের ওই জমি মাসুদ মিয়ার অনুকুলে ৩ হাজার ৮ শত ৩৪ টাকার মূল্যে একই বছরের নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে ইজারা প্রদান করেন। যার চালান নং-৩৪৬। যেহেতু জেলা পরিষদ জমি আমাকে আগে ইজারা দিয়েছেন আমি সেখানে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ করি। পরে লিজ নিয়ে মাসুদ মিয়া ও তার স্ত্রী ওই জমি দাবী করেন। ঝামেলা এড়াতে জেলা পরিষদে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বৈঠক বসে। তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মানিব হার, জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ইমরান হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য অমি, মাসুদ মিয়ার স্ত্রী লাকি খাতুন, মাসুদ মিয়ার বড় ভাই তোয়ায়েল মিয়া, ছোট ভাই ফিরোজ মিয়াসহ সকলের উপস্থিতিতে বৈঠকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আমাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিবেন বলে ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে ওই মহিলা জেলা পরিষদের নির্বাহীর রুমে আমাকে হাসি মুখে টাকা পরিষদ করেন। এখন একটি কুচক্রী মহল আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার লক্ষে ওই মহিলার কথা এডিটিং করে টিকটকে ও ফেসবুকে ছাড়ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আরো বলেন-একটি মহল দির্ঘদিন ধরে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছে তারা বিপদগামী ও সন্ত্রাসী। ইতি মধ্যে এ ঘটনায় আমি পাংশা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছি যার নং-৩৯৮ তাং-১০/০৬/২০২২ ইং।