
ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দু'দিনের বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গত বুধবার রাত থেকে ৯ জুন বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে মহারশী নদীর বাঁধের দু’কোল উপচে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঢলের পানি প্রবেশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল ও কাংশা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ শতাধীক মানুষ। পানিবন্দী এলাকায় জমিতে পলি জমে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
এছাড়াও মহারশী নদীর বাঁধ উপচে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখের রাস্তা ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং উপজেলা পরিষদের ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন অফিসের ভিতরে ও হাজী অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢলের পানি ঢুকে পড়ে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী বাজারে পাহাড়ী ঢলের পানি ঢুকে মসজিদ রোড (কাঁচা বাজারে) হাটু পানি জমে গেছে। অপরদিকে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর, দিঘীরপাড়, রামনগর, চতল, আহাম্মদনগর, বনকালি, ধানশাইল, কুচনীপাড়া, বাগেরভিটা, কাংশা, হাতিবান্ধা, লয়খা, কামারপাড়া, পাগলার মুখ, দাড়িকালিনগর, কালিনগর সহ ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সরেজমিনে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা কৃষি দপ্তরসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।