
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর গ্রামে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালানোর সময় ৫ যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর ভূঁইয়া বাড়ির এনামুল হক বাবু, শান্তিধারা এলাকার আবদুল্লাহ আল ওহি, ডাক্তারপাড়া এলাকার জিহাদ হাসান প্রান্ত, সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার শাহরিয়ার ইসলাম আলভি ও চারিপুর এলাকার শাহাদাত হোসেন। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মধ্যম চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা মমিনুল হক ভূঞা ঢাকায় ব্যবসা করেন এবং লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি পরিবারসহ গ্রামের বাড়িতে আসেন।
সোমবার রাতে পাঁচ যুবক ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে তার ঘরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে যুবকদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা উল্টো হুমকি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রামবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন।
সমাজ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলী মনছুর ভূঞা সুমন জানান, মমিনুল হক ভূঞার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে তারা এসেছিল। তারা সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়েও দরজা খোলানোর চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে লেমুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির কামরুল ইসলাম বলেন, "কোনো অপরাধীকেও আটক করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। এভাবে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালানো ঠিক হয়নি।"
ঘটনার পর এলাকাবাসী পাঁচ যুবককে আটক করে বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।