বাউফল উপজেলা, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ মার্চ ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবদুল মোতালেব হাওলাদারে বড় ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত কাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আমার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে অগ্রসর হলে উপজেলা গেইটের সামনে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়।
এরপর পুলিশের সেল্টারে আসম ফিরোজ এমপির অনুসারীদের নেতৃত্বে ৫৯-৬০ জন মিছিলে হামলা করে এবং আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন- এর আগে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে আসম ফিরোজ এমপির উপস্থিতিতে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। আমার বাবা বর্তমানে ঢাকা একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া মাঝি।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহভাপতি তালুকদার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রব , বিথিকা হাওলাদার, দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ আবুল বসার, আবুল হোসেন হাওলাদার, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ দাস , অসিত বরন হাওলাদার, দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ মিছিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি'র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আবদুল মোতালেব হাওলাদার আহত হন। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুপুর ১২টার দিকে আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।