
নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চলমান বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ‘উপজেলা প্রশাসন বিদ্যানিকেতন’ এর শিক্ষার্থীরা যখন নৃত্য পরিবেশন করছিল, তখন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নূর ফরিদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছের হোসেন ও কামাল হোসেন তালুকদারসহ আরও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মী মঞ্চে ওঠেন। তাঁরা ইউএনওকে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন এবং অভিযোগ করেন— মঞ্চের ব্যানারে ‘উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বর’ লেখা রয়েছে। পরে তাঁরা শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বাধা দিতে গেলে তাঁদের গালিগালাজ করা হয় এবং ইউএনওকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা যায়। যদিও পরে দেখা যায়- ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ লেখা নেই; যে ছবিটি দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছিল, সেটি আগের বছরের (১৪৩০ সালের)।
ইউএনও রুয়েল সাংমা বলেন, “যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী হঠাৎ অনুষ্ঠানস্থলে এসে ব্যানার ছিঁড়ে দেন ও আমাকে লাঞ্ছিত করেন। তারা মাইক হাতে নিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দেন।”
ঘটনার পর উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা ভুল স্বীকার করে বলেন, একটি বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট দেখে তারা ভুলবশত এমন কাজ করেছেন এবং ইউএনওর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
নূর ফরিদ খান বলেন, “আমাদের ভুল হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কাউকে লাঞ্ছিত করিনি, এটি মিথ্যা অপবাদ।”
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাছুম চৌধুরী বলেন, “ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে ভুলবশত ঘটনাটি ঘটে। আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি।”
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”