Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / বরিশাল / বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রির শুরুতে মধ্যবিত্তদের দীর্ঘ লাইন! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রির শুরুতে মধ্যবিত্তদের দীর্ঘ লাইন!

March 05, 2025 09:06:31 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রির শুরুতে মধ্যবিত্তদের দীর্ঘ লাইন!

বরিশাল সদর প্রতিনিধি:
বরিশাল নগরীর ১০টি পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে পহেলা রমজান থেকে। প্রতিটি স্পটেই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে চাহিদার তুলনায় ট্রাকে পণ্য কম থাকায় বেশিরভাগ মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটেছে।

বরিশালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোলায়মান ব্যাপারী দুপুর আড়াইটায় নগরের বাকলার মোড়ে টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো পণ্যই পাননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এরপর মুখ থেকে ভালো কথা বের হওয়ার সুযোগ আছে? সবাইকে পণ্য দিতে না পারলে ঘোষণা দেওয়ার কী দরকার ছিল?”

অন্যদিকে, নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে টিসিবির ডিলার নাসির উদ্দিন বলেন, “নগরীর ঘনবসতি ও দরিদ্র এলাকায় ট্রাকসেলিং করা হয়। টিসিবির ট্রাক দেখে প্রতি পয়েন্টে যে পরিমাণ ভোক্তা আসেন, তার তিন ভাগের এক ভাগ পণ্যও আমরা পাই না। পয়েন্টে উপস্থিত সবাইকে পণ্য দিতে না পারলে সব দোষ ডিলারের ওপর এসে পড়ে। প্রতিটি পয়েন্টের ডিলারকে মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেওয়া হয়, অথচ সবখানে ৪০০ থেকে ৬০০ মানুষ উপস্থিত হন।”

টিসিবির সূত্র জানায়, প্রথম রোজা থেকে বরিশাল নগরীর ১০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেবাপ্রার্থীরা স্বল্প খরচে পাঁচটি পণ্য কিনতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে- এক কেজি চিনি ৭০ টাকা, দুই কেজি মসুর ডাল ১২০ টাকা,
দুই লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা, দুই কেজি ছোলা ১২০ টাকা, ৫০০ গ্রাম খেজুর ৮০ টাকা। বাজারে এসব পণ্যের অনেকটির দাম দ্বিগুণেরও বেশি।

টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল বলেন, “রমজানের শুরু থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতদিন প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের জন্য পণ্য দেওয়া হলেও আগামীতে এই পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে। অর্থাৎ ৪০০ জনের জন্য পণ্য সরবরাহ করা হবে।”

তিনি আরও জানান, বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য ৩১ হাজার ৫৭৪টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাতিল হওয়া ও নতুন পরিবারের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বরিশালের ১০ উপজেলায়ও ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।