
বরিশাল মহানগরীর রুপাতলী এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রাজিব খান এখন শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। একসময় পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রাজিব। কিন্তু আন্দোলনের সময় পুলিশের ধাওয়ায় তার একটি পা ভেঙে যাওয়ায় পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
রাজিব খান জানান, “আমি আমার একটি পায়ের বিনিময়ে হলেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন দেখতে পারছি -এটাই আমার বড় সান্ত্বনা। তবে পরিবারের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবে মাঝে মাঝে কষ্ট পাই।”
রাজিবের পরিবারের চার সদস্যের পরিবারে রাজিবই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। তার বড় ভাই শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই উপার্জনে অক্ষম। বৃদ্ধা মা ছিলেন একমাত্র আশার আলো, যিনি ছেলের চাকরির মাধ্যমে সংসারের উন্নতির স্বপ্ন দেখেছিলেন।
রাজিবের অসুস্থতা এবং চিকিৎসার খরচের কারণে পরিবারটি এখন ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণে জর্জরিত। তিনি বলেন, “যেখানে পরিবারের হাল ধরার কথা ছিল, সেখানে এখন নিজেরাই আমাকে বোঝা হিসেবে দেখছে।”
রাজিব খান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন গত জুলাই থেকে। প্রতিদিন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া রাজিব এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
রাজিবের পরিবার ও তার ভবিষ্যত নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য এবং সরকারিভাবে তার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে পরিবারটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।