Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / বরিশাল / বিএনপি নেতাকে মনোনীত করার দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বিএনপি নেতাকে মনোনীত করার দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ

February 18, 2025 06:11:28 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
বিএনপি নেতাকে মনোনীত করার দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ

বরিশাল নগরের একটি বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে বিএনপির নেতাকে মনোনীত করার দাবিতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেছেন সংগঠনটির একদল নেতা-কর্মী।

সোমবার রাতে নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা বোর্ড চেয়ারম্যানকে কমিটি ঘোষণা করতে চাপ দেন। তিনি এতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়ে টেবিল চাপড়ান। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হলে তারা সেখান থেকে সরে যান।

বরিশালের রূপাতলী এলাকার এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে এ উত্তেজনা তৈরি হয়। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো তালিকায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া সালামকে ১ নম্বরে এবং নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানতে চান, কেন জিয়াকে ১ নম্বরে রাখা হয়নি। তবে বোর্ড চেয়ারম্যান স্পষ্ট করেন যে, এ বিষয়ে তার কোনো ভূমিকা নেই, কারণ তালিকা নির্ধারণের দায়িত্ব প্রশাসনের।

এ বিষয়ে নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘‘সভাপতি হিসেবে যাঁকে প্রস্তাব করা হয়েছে, তিনি ফ্যাসিস্ট। আমার কিছু নেতা-কর্মী এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি আমি শুনিনি এবং যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাদের আমি চিনি না।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে যান এবং বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে জিয়া উদ্দিন সিকদারকে ১ নম্বরে না রাখার কারণ জানতে চান। এ সময় তারা টেবিল চাপড়ে এবং হুমকি দিয়ে চেয়ারম্যানকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখেন।

তবে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার তুষার ও ইলিয়াস তালুকদার দাবি করেন, তারা কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন এবং কোনো হুমকি বা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।