
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ এবং ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে সরকার নির্ধারিত বর্ধিত বেতন কার্যকরের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকরা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বরিশাল সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়ন ও হরিজন ব্যানারে নগর ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক সেলিম জোমাদ্দার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সোহেল আকন, মিনু বেগমসহ আরও অনেকে। তারা অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের লিখিত নোটিশ বা কারণ দর্শানো ছাড়া ১ জানুয়ারি ১৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মৌখিক নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা শ্রম আইন বিরোধী এবং মানবিকতার প্রতি উদাসীন।
বক্তারা বলেন, "অকস্মিক এই ছাঁটাই কর্মীদের জীবন-জীবিকায় চরম সংকট তৈরি করেছে। সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াই ষাটোর্ধ্ব শ্রমিকদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া পরিবারগুলোর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে তাদের দ্রুত কাজে ফেরানোর কোনো বিকল্প নেই।"
এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব অর্ণব মুবিন, এস এম ওয়াহিদুর রহমান, সুমাইয়া জাহান সিফতসহ অন্যান্য নেতারা।
বক্তব্য শেষে, শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের চার দফা দাবি উপস্থাপন করে।
সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম জোমাদ্দার জানান, দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে বর্ধিত বেতন কার্যকর; বাদ পড়া ষাটোর্ধ্ব ১৬০ জন শ্রমিককে কাজে বহালের অনুমতি; মৃত কর্মীদের পরিবারকে অনুদান প্রদান; ১৫-২০ বছর ধরে কর্মরত শ্রমিকদের শূন্য কোটায় স্থায়ী নিয়োগ।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে তিনটি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ছাঁটাই হওয়া ১৬০ জনের বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে, নগরভবন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।