
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ করে সিলেট বিভাগের সবগুলো জেলাজুড়ে আসা বন্যা দ্রুত সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। চোখের পলকেই বেড়ে যাচ্ছে বানের জল। বানের জলে ঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে মানুষ। পুরো বিভাগজুড়েই এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই সুনামগঞ্জেও জেলা সদরসহ প্রায় সকল অঞ্চলেই বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়ির অভ্যন্তরে।
এদিকে বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে সুনামগঞ্জের মানুষের বিপদ আরও বাড়িয়েছে বিদ্যুত আর নেটওয়ার্কহীনতা। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ৯টা থেকে আজ সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১২ ঘণতা পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বিদ্যুতের। টানা বিদ্যুতহীনতায় কলাপ্স করেছে জেলার মোবাইল নেটওয়ার্কও। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই জেলার মানুষ পাচ্ছে না মোবাইলের নেটওয়ার্ক।
এদিকে আবার নেটওয়ার্ক কিছুটা পাওয়া গেলেও বিদ্যুতহীনতায় মোবাইল ফনে চার্জ দিতে না পারায় নিজেদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না অনেকেই।
এখন পর্যন্ত যারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি বা বানের জলে ডুবে যাওয়া বাড়িতেই অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে খাদ্য সঙ্কটও। শুকনো খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগতই খারাপের দিকে যেতে থাকাই জেলার সর্বস্তরের জনগণ এমনকি বাইরের মানুষেরও চাওয়া এখন প্রশাসনের সহায়তার। অনেকেই চাচ্ছেন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বন্যাকবলিত মানুষদের উদ্ধার কাজ শুরু করা হোক।
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ইতোমধ্যেই জেলার ৮০ শতাংশ অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রায় সকল বাড়িতে ঢুকেছে পানি। আজ সকালেও সুরমা পয়েন্টে বন্যার পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলেও জানান তিনি।