
ফরিদপুর সংবাদদাতা:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজলার বুড়াইচ ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য (মেম্বার) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী সদস্য বাদি হয়ে রোববার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনসহ ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুর গ্রামের ওহিদ বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুব (৩৫), উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের হাকিম মোল্যার ছেলে কাউসার (৫০), বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুর গ্রামের জাহেদ বিশ্বাসের ছেলে লিজন (২২), একই গ্রামের রেজাউলের ছেলে সাব্বির (১৯), আব্দুল হক বিশ্বাসের ছেলে শাহিদুল (২৭), মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে ফারুক (২৮) এবং হাশেম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের (৩২)। এরই মধ্যে জড়িত সন্দেহে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুবকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। গ্রেফতার মাহাবুবকে সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী কাউসার ও লিজন শনিবার (২ জুলাই) রাতে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় নারী সদস্য (৫২) এবং তার স্বামীকে বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুরে অবস্থিত শ্মশানের কাছে ডেকে আনেন। কথা ছিল ওই নারী সদস্যের ছেলের জন্য পাত্রী দেখাবেন। কিন্তু পাত্রী না দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আসামীরা রাত সোয়া ১০টার দিকে গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে নজরুল বিশ্বাসের বাড়ির পাশের মেহেগনি বাগানে ওই নারীকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান। সেখানে উল্লিখিত আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
মামলার এজাহারে আরও জানা যায়, এ সময় ওই নারী সদস্যের স্বামী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে রোববার (৩ জুলাই) সকালে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন ওই নারী মেম্বার। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাইক্রোবাস চালক মাহাবুবকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।
এ ব্যপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই নারী মেম্বার বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা মাহাবুবকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদেরও আটকের অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে ওই নারী মেম্বারকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নারী মেম্বার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সব আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।