
লিটন পাঠান:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলায় ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৪৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে সঠিক সময়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অফিসে কম্পিউটার প্রিন্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় শিক্ষকরা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনকি অফিসের একজন ক্লার্কের পদ ও শূন্য থাকায় সকল কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা অফিসারের পদটিও শুন্য রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৬ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মধ্যে আছেন ২ জন, ৪টি পদ শূন্য, পিয়ন পদটিও শূণ্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে কর্মরত কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা শরিফা খাতুন জানান, শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় আমরা খুবই অসহায়। সামান্য কাজে শিক্ষা অফিসে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমনকি একদিনের কাজ কয়েক দিন লেগে যায়। শিক্ষকদের বেতন ভাতা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। উপজেলায় শিক্ষা অফিসে ডাটাএন্ট্রি অপারেটর ও পিয়নের পদ শূণ্য থাকায় দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করতে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাদের পক্ষে একা সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এখানে একজন ক্লার্ক দিলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ সকল কাজ সঠিক সময়ে প্রদান করা কঠিন। ৬জন সহকারি শিক্ষা অফিসারে জায়গা রয়েছে দুইজন। টিকমত স্কুল ভিজিট করতে পারে না। স্কুলে সঠিক সময়ে শিক্ষক যায় কিনা মনিটরিং করতে পারে না এছাড়া উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে ৬৩টি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, মাধবপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।