
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক তিনবারের সফল চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবময় দিন। এটি কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের স্বাধীনতার, মুক্তির, এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সেই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তিনি শুধু একজন নেতা নন, বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে এক অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ও দূরদর্শী ভূমিকা জাতিকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সমগ্র জাতিকে একতাবদ্ধ করেছিলেন। তার এই ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল এবং বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। শহীদ জিয়া একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আজও বাঙালি জাতির হৃদয়ে এক অবিস্মরণীয় নেতা হিসেবে অমর। তার দেশপ্রেম, সাহসিকতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিটি প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে, যিনি জাতির আত্মপরিচয় গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সেই সব বীর শহিদদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে, আমি ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ সমগ্র দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আসুন, বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, এবং মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থেকে আমরা গড়ে তুলি এক উন্নত, শান্তিময়, ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ।