Date: May 02, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / জাতীয় / যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি সেনাপ্রধানের - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রক...

যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি সেনাপ্রধানের

September 24, 2024 02:12:23 PM   অনলাইন ডেস্ক
যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি সেনাপ্রধানের

গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।  সোমবার ঢাকায় সেনাপ্রধান তার কার্যালয়ে বসে রয়টার্সকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবেন।

আগস্টের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যান। পরে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

সেনাপ্রধান রয়টার্সকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর তার পূর্ণ সমর্থন আছে। সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করার একটি পথের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।  

সামরিক পোশাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি তাকে (মুহাম্মদ ইউনূস) সমর্থন করব। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন। যেন তিনি তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বিচার বিভাগ, পুলিশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  

সেনাপ্রধান বলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত। তবে ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব, এ সময়ের মধ্যে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত।  

বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর আগে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের প্রতি সপ্তাহেই বৈঠক হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অশান্ত পরিস্থিতির পর দেশকে স্থিতিশীল করতে সরকারের প্রচেষ্টায় সামরিক বাহিনীর সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, তবে ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।  

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ মন্ত্রণালয় বেশির ভাগ সময়ই প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এ দিকটায় নজর দিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিকের রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়।