
রংপুর প্রতিনিধি:
অবিলম্বে রংপুর জেলায় পুলিশি হয়রানি, তল্লাশির নামে নেতৃবৃন্দের বাড়িতে বাড়িতে ভাঙচুর বন্ধ করতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর এসব হয়রানি বন্ধ করা না হলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর জেলাকে অচল করে দেয়া হবে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলন থেকে গত সপ্তাহে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি বাধা ও অতর্কিত গুলি ও লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম জানান, গুম ও ক্রসফায়ার এই শতকে গণতন্ত্র ও সভ্যতার প্রতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে দেশের মানুষ শঙ্কা ও সংশয়ে রয়েছে। দুঃস্বপ্নের অতীত এক অভিঘাত। তাই জমগনের নিরাপত্তার জন্যই এ সরকারের পতন এই মুহূর্তে জরুরি।
পুলিশের ভুমিকার সমালোচনা করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিরোধী মতের নেতকর্মীদের গুলি করে পঙ্গু করা হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের মহাসড়ক এখন লাশ ঘুম ঘুম চোখ হারানো হাত-পা হারানো এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের মহাসাগরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ বাস ট্রেনে এমনকি পাবলিক প্লেসে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। তবে সকল ভয় ভেঙে জনগণের কন্ঠ জোরালো হচ্ছে সরকারের পাতা ঝরতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য অরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মিঠাপুকুর ও গঙ্গাচড়ায় গত সপ্তাহে বিএনপি'র শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং পুলিশ যৌথভাবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, গুলিবর্ষন এবং লাঠিচার্জ করে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হন এবং অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সেই গ্রেপ্তারি হয়রানিমূলক অভিযান অবিলম্বে বন্ধের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, যুগ্ম আহ্বায়ক আফছার আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।