
রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা:
নওগাঁর রাণীনগরে বেড়েছে মাছের চাষ। উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বছরে ৩হাজার মেট্রিকটনের বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় জমিতে পুকুর খনন করে অনেকেই অন্যান্য কর্মের পাশা-পাশি মাছ চাষে ঝুঁকে পরছেন।
রাণীনগর উপজেলা মৎস দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা জুরে সরকারী পুকুর রয়েছে ১৭০হেক্টর। এছাড়া মালিকানা পুকুর রয়েছে ৬০২ হেক্টর। এসব পুকুরে রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, মৃগেল, তেলাপিয়া, সিলভারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন চাষীরা। এর পাশা-পাশি, পাবদা, সিং, মাগুর, কৈ, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ চাষ করছেন চাষীরা। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা এসব মাছ এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন। এছাড়া ৮৫০ হেক্টর নদী, ৯৫০হেক্টর বিল, একহাজার ৮০ হেক্টর প্লাবনভূমি এবং ২৫ হেক্টর খালে পর্যাপ্ত পরিমানে দেশী মাছ উৎপাদন হয়।
তথ্য মতে, উপজেলায় জনসংখ্যার তুলনায় বছরে চাহিদা রয়েছে ৪হাজার ১৮১মেট্রিকটন। সেখানে প্রতি বছর মাছ উৎপাদন হচ্ছে ৭হাজার ৩২৬ মেট্রিকটন। ফলে চাহিদার তুলনায় ৩হাজার ১৪৫মেট্রিকটন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এই উপজেলায় ধান চাষের পরেই মাছ চাষে নির্ভরশীল এলাকার জনসাধারণ।
উপজেলার কালীগ্রাম মুন্সিপুর গ্রামের সফল মাছ চাষী গোলাম মুক্তাদী বলেন, প্রায় ২২ বছর ধরে মাছ চাষ করছেন তিনি। উপজেলা মৎস্য অফিসের সার্বিক পরামর্শে ১১টি (৫২বিঘা) পুকুর লিজ নিয়ে বাজারজাত করণ মাছ চাষ করছেন।
তিনি বলছেন, আগে যে পরিমাণ লাভ হয়েছে, বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির তুলনায় মাছ বিক্রিতে সে অনুযায়ী দাম না পাওয়ার কারনে অনেকটা লাভ কমে গেছে। রাণীনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় বলেন,জনপ্রতি প্রতিদিন মাছের চাহিদা গড়ে ৬০গ্রাম। উপজেলায় জনসংখ্যার তুলনায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩হাজার মেট্রিকটনের বেশি পরিমান মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে। মাছ চাষে চাষীদের সার্বিকভাবে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং সরকারী প্রনোদনার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে আগের তুলনায় বর্তমানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।