
স্টাফ রিপোর্ট
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে যা নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পরে হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অগ্রহায়ণের শুরুতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমছে দুদিন ধরে, কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশাও পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, “বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে যা সুস্পষ্ট লঘুচাপ হয়ে শনিবার নাগাদ একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে না। এটির প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না।”
নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ার দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেও নভেম্বরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ারও শঙ্কা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
হেমন্তের মাঝামাঝি তাপমাত্রা কমে দেশের উত্তরে কোথাও কোথাও শীত শীত ভাব ও কুয়াশা বিরাজ করছে। তবে কয়েকদিন ফের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, নভেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে। উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
নিম্নচাপের পর তাপমাত্রাও বাড়ার প্রবণতা থাকবে।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আফরোজা সুলতানা জানান, গত বছরও নভেম্বরে এমন সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমেছিল। এবারও শীত যথাসময়ে আসছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি জেঁকে বসতে পারে শীত।