Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / খুলনা / শ্রীপুর থানা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোহেল মুন্সীকে শোকজ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

শ্রীপুর থানা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোহেল মুন্সীকে শোকজ

April 24, 2025 07:45:56 PM   অনলাইন ডেস্ক
শ্রীপুর থানা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোহেল মুন্সীকে শোকজ

শ্রীপুর সংবাদদাতা:
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুন্সী ইয়াছিন আলী সোহেলকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে আগামী ২৫ এপ্রিল শুক্রবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। কেন তার বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। নোটিশটি সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।

সোহেলের বিরুদ্ধে এর আগেও গুরুতর অভিযোগ উঠে। ১৮ এপ্রিল ভুক্তভোগী শিক্ষক ফয়জুর রহমান শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: ১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল মুন্সীর সঙ্গে আরও কয়েকজন নেতাকর্মী এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সোহেলের ঘনিষ্ঠ আলামিন, রাজ্জাক, শুকুর ও লিপ্টন।

ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসীরা জানান, গত ৫ আগস্টের পর সোহেল মুন্সীর নেতৃত্বে চরকচুয়াসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ বাড়তে থাকে। সে সময় প্রতিবেশী আন্নু মোল্যা নামে দরিদ্র এক যুবকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। আন্নু স্থানীয় এক সুদ কারবারির কাছ থেকে টাকা ধার করে সোহেলদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষক ফয়জুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হতে থাকে। একদিন তাকে শ্রীপুর বাজার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী শামীম লাকনুর জানান, ৭ এপ্রিল বিকেলে সোহেল মুন্সী মোবাইল ফোনে তার স্বামীকে শ্রীপুর মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতনের পাশাপাশি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এসময় ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করা হয় এবং বাকি ২ লাখ টাকার জন্য একটি ব্যাংক চেক নেয়া হয়। বর্তমানে সেই দুই লাখ টাকা আদায়ের জন্য সোহেল মুন্সীর ঘনিষ্ঠরা মোবাইলে চাপ দিচ্ছেন।

শিক্ষক ফয়জুর রহমান বলেন, “১ লাখ টাকা দেওয়ার পরও তারা আরও ২ লাখ টাকা না দেওয়ায় হুমকি দিচ্ছে। এখন বাড়িতে থাকতে পারছি না, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। থানায় অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি। স্কুলেও যেতে পারছি না।”

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোহেল মুন্সী বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার পরিচিত কয়েকজন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা ও চেক নিয়েছে বলে শুনেছি, তবে আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।”

অভিযোগ সম্পর্কে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, “থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”