
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বারৈজঙ্গল গ্রামে নিজ বসতবাড়িতে দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে গলাকেটে খুন হয়েছেন মুক্তা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল এবং তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আহমেদ জানান, নিহত মুক্তা বেগম ওই এলাকার মান্নান গাজীর স্ত্রী। তিনি বলেন, "পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছে, নিহতের রক্তাক্ত নিথর দেহ নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে ছিল, তবে মাথা খাটের নিচে ঝুলছিল। গলার পেছনে ও সামনে ধারালো কোনো বস্তু দিয়ে ভয়ঙ্কর আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলার রগ কেটে যাওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।"
ওসি আরও বলেন, "ঘটনার সময় নিহতের স্বামী তারাবির নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, ডাকাতির সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটি ডাকাতির উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণ জড়িত রয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং আশা করছি, খুব শিগগিরই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে ভেদরগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা ও হত্যার মূল কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। আমরা দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছে স্থানীয়রা।