
শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মশুড়ায় একটি মাহিন্দ্র থামিয়ে চালককে মারধর করে ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে মশুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ট্রলি চালক ইলিয়াস আকন অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রলিতে করে বালু নিয়ে আসার সময় বিবাদী শিশির শেখের ট্রলির চালক তার গাড়িকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বালু ফেলে ফেরার পথে শিশির শেখ (পিতা: ইউসুফ আলী শেখ), বাবু শেখ (পিতা: ইউসুফ আলী) ও রানা মকদম (পিতা: নুরুল হক মকদম) অপরিচিত আরও ১০-১৫ জনের সঙ্গে মিলে ট্রলি থামিয়ে তাকে লাঠিসোটা ও হকিস্টিক দিয়ে মারধর করেন। এতে ইলিয়াস আকনসহ দুজন আহত হন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ও ৬ আনা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনার সাক্ষী সবুজ মাদবর বলেন, "ব্যক্তিগত কাজে মশুড়া যাচ্ছিলাম, হঠাৎ ইলিয়াসদের চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই এবং ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ততক্ষণে তারা টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।"
আরেক সাক্ষী লিয়াকত শেখ বলেন, "সবুজের সঙ্গে যাওয়ার সময় চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। দেখি দুজন আহত হয়েছে, আর হামলাকারীরা টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে চলে গেছে।"
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাম উদ্দিন মোল্লা জানান, "একটি অভিযোগ পেয়েছি, যেখানে ট্রলি চালকদের মধ্যে রাস্তা নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"