
বগুড়ার নিশিন্দারা ধমকপাড়ায় চার বছরের শিশু মাহাদী হাসানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের প্রতিবন্ধী মেঝো বোন সোনালীর হৃদয়বিদারক আর্তনাদ, "ময়না নাই যারা মারছে, তারেকরে ফাঁসি চাই," সবাইকে মর্মাহত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু মাহাদী। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন ভোরে ভাড়াটিয়া তহমিনার বাড়ির পেছনে একটি বস্তায় মাহাদীর লাশ পাওয়া যায়।
মাহাদীর শারীরিক প্রতিবন্ধী মেঝো বোন সোনালী তার একমাত্র সঙ্গী ছোট ভাইকে হারিয়ে শোকে পাথর। তার আহাজারি থামছেই না। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও শোক সামলাতে পারছেন না।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তহমিনা নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। তার ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে লেখা ছিল, “তোমার সন্তানকে ভালোভাবে দেখতে হলে গলির মধ্যে ৫ লাখ টাকা রেখে যাও।”
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমুন রঞ্জন সরকার জানান, অভিযুক্ত তহমিনা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উদ্ধারকৃত চিরকুটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চার বছরের ছোট মাহাদী ছিল এলাকার সবার প্রিয়। তার স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ আর অল্প বয়সে প্রাপ্তবয়স্কদের বন্ধু বলে সম্বোধন করার অভ্যাস তাকে সবার কাছে প্রিয় করে তুলেছিল। মাহাদীর এই নির্মম মৃত্যুতে এলাকাবাসীও শোকে স্তব্ধ।
মাহাদীর মর্মান্তিক মৃত্যু তার পরিবার এবং পুরো এলাকাকে গভীর শোকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।