
স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ ১৬ বছর হয়রানির পর মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন হেযবুত তওহীদের দুই সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিজ্ঞ আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা হলেন আব্দুল ওহাব ও মোতালেব মেম্বার। তাদের মধ্যে মোতালেব মেম্বার ইন্তেকাল করেছেন।
জানা যায়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে হেযবুত তওহীদের সদস্য আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে তার নিজ জামাতা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করে পুলিশকে। থানা পুলিশ সাদা পোশাকে ওহাবের ভাড়াবাসায় এসে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে জানতে চায় আব্দুল ওহাবের কাছে। আব্দুল ওহাব অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের প্রকাশ্য কার্যক্রম, লক্ষ্য উদ্দেশ্যসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে সবিস্তারে জানায় পুলিশকে। পরে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এসে ওহাবকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সন্দিগ্ধ আসামি হিসাবে আদালতে সোপর্দের পর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত একদিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করে।
আরও জানা যায়, আন্দোলনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলমান প্রকাশনার প্রচারকার্য চলছিল সারাদেশব্যাপী। স্কুল, কলেজ, বাজার, বাস, ট্রেনসহ সর্বত্র ২০০৮ সালের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রিত আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই ‘দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা!’ বইটির প্রচারকার্য চালাচ্ছিল আন্দোলনের সদস্যরা।
অপরদিকে একই সময়ে বইটির প্রচারকার্য চালানোর সময় হেযবুত তওহীদে আরেক সদস্য মোতালেব মেম্বারকে আব্দুল্লাহপুর খন্দকার সিএনজি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর আব্দুল ওহাবের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতে সোপর্দ করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ৫৪ কার্যবিধি এবং পরবর্তীতে ধারা- ১৫৩/১৫৩ক/৫০৫/৫০৫ক দণ্ডবিধিতে মামলা দায়ের করে।
ব্যাপক তদন্তের পরও তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কিছু না পেয়েও আই/ও স্বপ্রোণদিত হয়ে অত্র ধারায় প্রসিঃ দাখিল করে। এরপর দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর কারাভোগের পর মহামান্য হাইকোর্ট তাদের জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। ৪৪৪ দিন পর তারা জামিনে বের হন। অবশেষে ১৬ বছর মিথ্যা মামলার ঘানি টানার পর ১২/০২/২০২৫ তারিখে তারা বেকসুর খালাস পান।