
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রস্তাবনায় না থাকলেও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হয়েছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার। অভিযোগ রয়েছে দলীয় নেতাদের ব্যাবহার করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সভাপতি পদ দখল করেছেন তিনি। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে অনন্য প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা গেছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ২০ আগস্ট দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধি, মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা তার মনোনীত প্রতিনিধি ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করবে।
পরবর্তী আদেশ পাওয়ার পর নতুন করে এই কলেজের কমিটি গঠনে সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন ও জাজিরা কলেজ কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তে বলা হয়, কেউ সভাপতি হতে চাইলে তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর জীবন বৃত্তান্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাক্ষর করে প্রস্তাব পাঠাবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে মূল কমিটির অনুমোদন দিবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে সেসব নিয়মের না মেনেই অলৌকিক ক্ষমতা বলে নিজের নামে কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন এই নেতা। তার দাবি, মিয়া নুরুদ্দিন অপুসহ বিএনপির সিনিয়র কিছু নেতা তার বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। তাই সভাপতি হয়েছেন তিনি। সভাপতি হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর কোনো আবেদন করেছেন কি না জিজ্ঞেস করলে বজলুর রশিদ শিকদার বলেন, আমি সরাসরি ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর আবেদন করেছি।
এবিষয়ে জাজিরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার বাড়ৈকে মুঠোফোনে কল করল তিনি অসুস্থতা জনিত কারণে কথা বলতে পারেননি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আমাদের প্রস্তাব পাঠানোর কথা ছিলো। আমরা প্রস্তাব পাঠানোর পরপরই শুনি বজলুর রশিদ শিকদার নামে এক ব্যাক্তিকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমি ওই কমিটির প্রস্তাবনা পাঠাইনি। তারা কিভাবে সভাপতি হয়েছে এবিষয়ে আমি জানি না।