
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাট আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাণিজ্যিকভাবে সৌদি আরবের উন্নত জাতের খেজুর চাষ করে এলাকায় ব্যাপক চমক সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উদ্যোগে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে খেজুর চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে তিনি ইউটিউবে নিজ দেশের মাটিতে খেজুর চাষ দেখে তিনিও চাষে উৎসাহিত হন। অবশেষে তিনি চারা সংগ্রহের অভিযানে নেমে পড়েন এবং বাড়ির কাছেই ৭০ শতাংশ জমি প্রস্তুত করেন। প্রথমে তিনি সৌদির ৬০টি মারজুল জাতের খেজুর চারা ঢাকা থেকে সংগ্রহ করে রোপণ করেন। প্রতিটি চারা তিনি পাঁচশত টাকা ক্রয় করেছেন। এছাড়া তিনি ১টি টিস্যু কালচার চারা দশ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সেখান থেকেই পর্যায়ক্রমে তিনি ওই জমিতে টিস্যু কালচার থেকে চারশত গাছ তৈরি করে খেজুর গাছ রোপণ করেন। বর্তমানে ওই বাগানে আজেওয়া, মরিয়ম, সুককালি, আমবার ও বারহি জাতের চারা রোপণ করেছেন এবং সেখান থেকে ওই সব জাতের প্রতিটি চারা পাঁচশত টাকায় বিক্রি করছেন। বিক্রিত চারাগুলো বয়স তিন বছর। চারা লাগানোর ১ বছর পরেই ফল আসা শুরু করবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং সেই ফুল থেকে ঝোঁকায় ঝোঁকায় ফল আসে। তবে বছরে একবারই ফল পাওয়া যায়। ৫/৬ মাস পরেই খেজুর পাকে শুরু হয়। খেজুরের ঝোঁকাগুলো পাখির কবল থেকে রক্ষা করার জন্য পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। এছাড়া মশা, মাছিসহ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া গাছের নিচে মাটিতে বসে ফল পাড়া সম্ভব। বর্তমানে ওই বাগানে বেশ কিছু গাছে ফল এসেছে। তবে ১ বছর পরেই বাগানের সব গাছেই বিভিন্ন জাতের ফল পাওয়া যাবে। খেজুরগুলো খেতে খুব সুস্বাদু, যার মূল্য প্রতি কেজি খেজুর ছয়শত টাকা।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ইউটিউব দেখে খেজুর চাষের উৎসাহ বাড়ছে। খেজুর ক্ষেতে বেশ সুস্বাদু। আমরা বাগানটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছি। তিনি আরও বলেন, যদি কৃষক সাইফুল ইসলাম চাষে লাভবান হন, তাহলে আমরা পর্যায়ক্রমে উপজেলার অন্য কৃষকদেরও খেজুর চাষে উদ্বুদ্ধ করব।