আক্কেলপুর সংবাদদাতা, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলায় মারুফা আকতার (২৯) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে নিহতের মরাদেহ উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়ির মুরগির সেডের মধ্য থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত ওই গৃহবধু আরকেএম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রুহুল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি গত (চার) মাস আগে জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদ গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর মেয়ে মারুফাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। মারুফার আগের সংসারে ১১ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে রুহুল আমিনেরও ৪ বছর ও ৯ বছরের কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। এবং মারুফা নাটোরে একটি বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আল জাজির হোসেন বলেন, রুহুল আমিন স্থানীয় আর কে এম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। গত চার দিন আগে সেই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে কোর্ট মাধ্যমে তালাক দিয়েছে বলে শুনেছি।আর সেই তালাকের বিষয়টি মারুফা জানতে পেরে গত শনিবার বিকেলে রুহুল আমিনের বাসায় আসেন।কিন্তু তার আগে রুহুল আমিন তাঁর বাড়ির মুল গেটে তালা মেরে বাড়ি থেকে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হন।
এরপর রুহুল আমিনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মারুফাকে ওই বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলামের বাড়িতে রাখেন। এবং সেখানে রাতে থাকার পর, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহিদুলের বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মারুফা।এরপর রুহুল আমিনের মুরগির ওই সেডের মধ্যে মারুফার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।পরে স্থানীয়দের খবরে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত গৃহবধু মারুফার মা মাহমুদা বেওয়া বলেন, গত চার মাস আগে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকেই জামাই শুধু টাকা চায়, আমার মেয়েকে জামাই এটা কি করলো। সেই বাড়িতে নেই কেন? পালিয়েছে কেন? তোমরা হামার মাইয়াডাকে অ্যানে দাও। মারুফার বড় বোন মাসুদা আকতার বলেন, বোনের বিয়ের বয়স হয়েছে মাত্র চারমাস। এর মধ্যেই জামাই বার বার যৌতুকের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা চাইতো। সকালে বোনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। বোন আমার আতহত্যা করতে পারে না। বোনের স্বামী পালিয়েছে কেন?
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে রুহুল আমিনের বাড়ির মুরগির সেডের মধ্যে থেকে নিহত মারুফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় আতহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের হয়েছে।