
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, প্রায় এক মাস আগের এ ভিডিওটি গতকাল (বুধবার) রাতে ভাইরাল হয়।
১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে তিন তরুণের একজন মুখে মাস্ক পরে কাঠের খাপ দিয়ে ইউসুফ খানের নিতম্বে আঘাত করছেন। অন্য একজন তাঁর হাত টেবিলে চেপে ধরে রেখেছেন। অধ্যাপক ইউসুফ খান চেয়ারে বসে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দেখা যায়।
অধ্যাপক ইউসুফ খান ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসর নেওয়ার আগে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং ময়মনসিংহ নগরের মহারাজা রোডে বসবাস করতেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লেখেন, “অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান একজন নির্বিবাদী মানুষ। বাকিটা আপনাদের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম।” এরপর ভিডিওটি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেজেও শেয়ার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, “চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি সন্ত্রাসীরা ইউসুফ খানকে অপহরণ করে অমানবিক নির্যাতন চালায়।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বিকেলে ধানমন্ডি লেকের কাছে চা খেতে যাওয়ার পথে ৬-৭টি মোটরসাইকেলে আসা একটি দল নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে একটি বাসায় আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে ৫ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, ইউসুফ খান বিস্ফোরক মামলার আসামি হলেও পুলিশ তাঁকে আটক করেনি। ভিডিওটি সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বর্তমানে অধ্যাপক ইউসুফ খান নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গেছে।