Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / আসকোনা থেকে অপহরণের ৫ মাসপর শ্রীপুর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

আসকোনা থেকে অপহরণের ৫ মাসপর শ্রীপুর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

May 18, 2023 08:02:42 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
আসকোনা থেকে অপহরণের ৫ মাসপর শ্রীপুর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

শাহাদত হোসাইন:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার  সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে আশকোনা থেকে পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকার আশকোনা এলাকা থেকে অপহরণের পাঁচমাস পর শ্রীপুর পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জৈনক রহিম মোল্লার বাড়ির সেফটি টেংকির ভেতর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ।

অপহরণ মামলা দায়েরের একমাস পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীকে গ্রেফতারের পর আসামীর তথ্যমতে মরদেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী সমকামিতা, অপহরণ  ছিনতাইকারী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (১৭মে)বিকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের জৈনক রহিম মোল্লার বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবক আমির হোসেন (২৫) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় তুলাচারা গ্রামের আবু তাহের ছেলে।সে ঢাকার দক্ষিনখান থানার আশকোনা এলাকায় থাকতো

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী ঘাতক তারেক ওরফে তারেক আহমেদ (৩২) নাটোর সদরের  রুয়েরবাগ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

নিহতের বোন কামরুন্নাহার বলেন, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আশকোনা এলাকা থেকে নিহত যুবক নিখোঁজ হন। এরপর বিভিন্ন স্থানে কয়েকমাস খোঁজা খোঁজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ এপ্রিল অপহৃত যুবকের ভাই বিল্লল হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে, তার দেয়া তথ্য মতে শ্রীপুর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি আরও জানান, আমার ভাইকে অপহরণের পর অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি দশলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একাধিকবার ফোন করে।

মামলার বাদী নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী আমার ভাইকে অপহরণের পর শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকা নিয়ে একটি বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। অপহরণকারী আমার ভাইকে নির্যাতন করে খুন করার পর বস্তাবন্দি গর্তে ফেলে দেয়।

ডিএমপির দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোছাঃ রেজিয়া খাতুন জানান, গত ১৩ এপ্রিল নিহতের বড়ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি অপরহণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে। বুধবার (১৭ ৫মে)নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার তাজুল ইসলাম জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য মতে গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌরসভা এলাকার জৈনক রহিম মোল্লার বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত সেফটি টেংকির ভেতর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী একজন সমকামিতা গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। সে গে নামক একটি গ্রুপের মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুবকদের ডেকে এনে ছিনতাইয়ের পর ছেড়ে দেয়। অভিযুক্ত আসামী নিহত যুবককে অপহরণের পর শ্রীপুরে এক সপ্তাহ যাবৎ ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে রাখে। এরপর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মাওনা বাজার বস্তা ও রশি কিনে এনে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে গর্তে ফেলে রাখে। হত্যার পর অপহরণকারী এই বাড়িতে চারদিন অবস্থান করে। পরে পালিয়ে থাকার সুবিধার্থে সে ৩ মাসের তাবলিগ জামাতে চলে যায়।