
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কাটা ছেড়া, শেলাই, ইনজেকশনসহ যাবতীয় কাজ করে অবসরপ্রাপ্ত নৈশপ্রহরী। এতে রোগীদের বড় ধরনে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে বলে মনে করছেন রোগীর স্বজনরা।
এলাকাবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস পূর্বে পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে নৈশপ্রহরীর কাজ থেকে অব্যাহতি পান আমির হোসেন । এই সুবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এর সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে কাজ করার সুযোগ পায় তিনি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এক্সিডেন্ট , মারামারি, দুর্ঘটনা জনিত বিভিন্ন রোগী আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ·। বিভিন ধরনের ক্ষতস্থান শেলাই করা ইনজেকশন পুস করা, ব্যান্ডেজ করাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন অব্যাহতি প্রাপ্ত অদক্ষ নৈশ্য প্রহরী আমির হোসেন। দক্ষ ডাক্তারগণ বসে থেকে অদক্ষ লোকদের দিয়ে জরুরি বিভাগের কাজ করানো সহ প্রতিদিন রোগীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে রোগীদের যে কোন সময় মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে বলে জানান সাধারণ রোগীরা।
রতন হোসেন নামে এক রোগী জানান, কিছুদিন যাবত জরুরী বিভাগে এই অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এতে রোগীদের বড় ধরনের মারাত্মক ক্ষতি সাধন ঘটতে পারে। এটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা।
অবসরপ্রাপ্ত নৈশপ্রহরী আমির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না। আমার সম্পর্কে যা জানার স্যারের কাছে শুনেন।
উপজেলা মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুন নাহার ইতি জানান, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে পারব না আমার স্যারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফর রহমান আজাদ জানান, হাসপাতালে লোক কম থাকায় কাজ করছে। তবে কোন আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত থাকলে তাকে আমরা অব্যাহতি দিয়ে দিব।
গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ খায়রুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।