
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের কচুয়া থানায় গরু চোর চিহ্নিত হওয়ার পরও বাদী অভিযোগ তুলে নেয়ায় রক্ষা পেল চোর চক্র। মঙ্গলবার কচুয়া থানায় অভিযোগের তদন্ত অফিসার এসআই মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাদী মেহেদী হাসান নাঈম জানান, আমরা বাড়িতে থাকিনা, আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? তাই অভিযোগ তুলে নিয়েছি।
‘কচুয়ায় গরু চোর চিহ্নিত হওয়ার পরও প্রকাশ্যে চোর চক্রের সদস্যরা’ শিরোনামে গত ৭ মে চাঁদপুরের একাধিক পত্রিকার সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। এছাড়াও গরু চুরি হওয়ার পর ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান নাঈম থানায় অভিযোগ করার পর তা তুলে নিলে বিচার থেকে রক্ষা পায় চক্রটি।
এদিক চুরিকৃত গরু স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম খাজার হস্তক্ষেপে গরুর মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন চোর চক্রের এক সদস্য। সাংবাদিকদের কাছে চোর চক্রের সবার নাম গোপন করে শুধু তার নাম প্রকাশ করা হয়েছে, চুরিকৃত অন্য গরুর টাকা খাজা মেম্বারের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে চোরদের সাথে বসা বা অর্থ লেনদেনের বিষয়ে খাজা মেম্বার অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য গত ২৩ মে দিবাগত রাতে কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট গ্রামের মিজি বাড়ির আব্দুল ছাত্তারের গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি হয় এবং ১ মে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম খাজা চোর চক্রকে চিহ্নিত করে নূরপুর লেমুয়া বাড়ির সামনে থেকে গরুটি উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দেয়।