
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর পারের এলাকার কন্টিনালা রাবার ড্যামের চলমান নদী থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে।
মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বেলাগাঁও গ্রামের মৃত আমির চান্দের পুত্র জুরী উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবীলীগ সভাপতি শামসুল ইসলাম মাছ নিধনকারী চক্রের মূল হোতা সোনাপুর গ্রামের মৃত ছায়েব আলির পুত্র রব মিয়া সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় আব্দুর রব ও তার সহযোগীরা কন্টিনালা রাবার ড্যামের পানির পাম্পের গুদামের তালা ভেঙে ডিজেল চালিত পাম্প চালু করে কন্টিনালা রাবার ড্যাম ফুলিয়ে নেয়। পরে রাবার ড্যামের নিচের অংশের কন্টিনালা নদীতে বাঁশের তৈরি খাটি বসিয়ে পলিথিনের সাহায্যে বাঁধ দিয়ে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করে। কন্টিনালা নদীটি চলমান একটি নদী। প্রতিবছর আব্দুর রব গঙ্গরা বর্ষা মৌসুমের পরপর রাবার ড্যামের পেছনের অংশের প্রায় তিন কিলোমিটার নদী দখল করে নেয়। দখলকৃত নদীর পুরো অংশে বাশ এবং গাছের ডালপালা ফেলে রাখেন। এবং প্রচার করতে থাকেন নদীটি তারা সরকারের কাছ থেকে লীজ এনেছেন। যার ফলে এলাকার কোনো মানুষ নদীর এই অংশ থেকে বৈধভাবে মাছ আহরণ করতে পারছেন না । আব্দুর রব গঙ্গরা শুষ্ক মৌসমে প্রথমে বাঁধ দিয়ে বিষ প্রয়োগ করে এবং পরে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে নদী শুকিয়ে মাছ নিধন করে আসছে। তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জেলে জানান, এই নদী থেকে আগে তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। বিগত সাত-আট বছর যাবত আব্দুর রব ও তার সহযোগীদের ভয়ে মাছ ধরার জন্য নদীতে নামতে পারছেন না। অভিযুক্ত আব্দুর রবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রতন কুমার অধিকারী বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে (২ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান পরিচালনা করে সাত হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও মাছ ধরার সামগ্রী জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।