
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র একদিন। গত সপ্তাহ থেকে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার থেকে মূল ছুটি শুরু হয়েছে। তাই চাকরিজীবীদের বাড়ি ফেরার ঢল শুরু মঙ্গলবার থেকেই।
সোমবার (২৬ জুন) রাত থেকে কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথম ট্রেন ছাড়ার শিডিউল থাকলেও যাত্রীরা আগেভাগেই হাজির হয়েছেন স্টেশনে। এদিকে যাত্রীদের চাপ সামলাতে মঙ্গলবার থেকে বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে সকাল থেকে সব ট্রেনেই ছিলো প্রচণ্ড ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলো উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে। ছাদে যাত্রী না উঠলেও স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রীচাপে, বিপদে পড়েন সিটধারীরা। ট্রেনের এবারের ঈদযাত্রায় তেমন ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। ফলে ঢাকা থেকে ঘরমুখোদের নিয়ে বিলম্বে ট্রেন ছাড়ছে। শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন না ছাড়ায় স্টেশনে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রী ও রেলওয়ে সূত্র বলছে, মঙ্গলবার সকালে ৪টি ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।
সকালে সরেজমিন কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। যদিও সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি। কিন্তু ঈদে বাড়ি যাওয়ার আনন্দের কাছে সবকিছুই ছিল তুচ্ছ। আর একদিন বাদেই ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে সবাই ছুটছে বাড়ির পথে।
আন্তঃনগর, মেইল কিংবা কমিউটার- সকাল থেকে সব ট্রেনই ছিলো যাত্রীবোঝাই। বিশেষ করে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর রুটের ট্রেনগুলোতে ভিড় ছিলো সবচেয়ে বেশি। টিকেট হাতে থাকলেও ভিড়ের কারণে নির্ধারিত সিট পর্যন্ত পৌঁছাতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে।
প্রতিটি ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হচ্ছে। বিনা টিকেটের যাত্রা বন্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে বাড়ির পথে রওনা হন বহু মানুষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরন শিশির বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও ট্রেনের সময়সূচি এখনও ঠিক আছে। দুই একটি বাদে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর ছেড়েছে।
তিনি জানান, নিয়মিত ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ঈদের বাড়তি যাত্রী পরিবহনে চলছে তিন জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। মেইল, কমিউটার মিলে সংখ্যাটা ৫৩ জোড়া।