
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার গোলাঘাটা মোড় থেকে বিদ্যানন্দকাটি রাজবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের আরসিসি ঢালাই কাজ এক বছরেও শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ১ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কের গোলাঘাটা মোড়স্থ পুরনো কালভার্টের কারণে মাত্র ১০ মিটার ঢালাই অসম্পূর্ণ থাকায় পুরো সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।
পৌরসভার সূত্র জানায়, ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে সড়কটির নির্মাণকাজ পেয়েছে মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ ও বনান্তর এন্টারপ্রাইজ। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত মেয়াদে- ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে- কাজ শেষ হয়নি। পরবর্তীতে কাজের মেয়াদ ১২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে সড়কের দুই পাশে পানি ও কালভার্টের দুরবস্থার কারণে ঢালাই কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের বাজিতপুর, সরফাবাদ, মির্জাপুর, মজিদপুর, মঙ্গলকোট, বাউশলা, হিজেলডাঙ্গাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজে এ সড়ক ব্যবহার করেন। সড়কটি একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় সামান্য অংশের কাজ বাকি থাকলেও পুরো এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে সড়কটি সংযুক্ত হওয়ার স্থানে উচ্চতার পার্থক্য ৪-৫ ফুট। গোলাঘাটা মোড়ের পুরনো কালভার্টটি একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে ভারী যানবাহন, মালবাহী ভ্যান বা মোটরসাইকেল চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলকোট গ্রামের ভ্যানচালক আকবর হোসেন বলেন, "মাত্র কয়েক গজ ঢালাই না হওয়ায় আমাদের অনেক কষ্ট করে মাল নিয়ে চলাচল করতে হয়।"
বনান্তর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আবু সাঈদ জানান, "পুরনো কালভার্টটি ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় থাকায় কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। কালভার্টটি সংস্কার হলেই দ্রুত সড়কটির বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।"
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোরশেদ বলেন, "কালভার্ট সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই বাকি কাজ শেষ করা হবে।"
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রোকসানা খাতুন বলেন, "কালভার্টটি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে।"