Date: March 29, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / এক্সক্লুসিভ / কালিয়াকৈরে অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি, বন্ধে তৎপড়তা নেই প্রশাসনের! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

কালিয়াকৈরে অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি, বন্ধে তৎপড়তা নেই প্রশাসনের!

June 28, 2022 06:29:42 AM  
কালিয়াকৈরে অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি, বন্ধে তৎপড়তা নেই প্রশাসনের!

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে অবৈধ ক্লিনিকগুলো বন্ধে সারাদেশে অভিযান চালালেও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে বাসা/মার্কেট ভাড়া নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এসব অবৈধ ক্লিনিকের মালিকরা। এসব ক্লিনিকের মালিক-কর্মচারীদের রোসানলে পড়ছেন রোগীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বৈধ ক্লিনিকের মালিক, ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বৈধ ক্লিনিক মালিক, রোগী ও তাদের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় মাত্র ছয়টা ক্লিনিকের বৈধতা থাকলেও সেগুলোর প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ কাগজপত্রের নবায়ন নেই। ওই সরকারী হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সাথে আতাতের মাধ্যমে চলছে প্রায় ৩০/৩২টি  অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে আরো অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকে রক্ত, কফ, মলমূত্র, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন অদক্ষ কর্মীরা। এ কারণে প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কখনো কখনো ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আবার কখনো কখনো নার্স দিয়ে মহিলাদের ডেলিভারির অপারেশন করানোর অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, সরকারি হাসপাতালের অনেক ডাক্তার অফিস ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ক্লিনিক গুলোতে গিয়ে রোগী দেখছেন এবং অপারেশনও করছেন। এ সুযোগে রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে গলাকাটা অর্থ আদায় করে নিচ্ছেন এসব অবৈধ ক্লিনিকগুলোর মালিকরা। ওই টাকার ভাগ যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটেও। গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের সকল অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর সারা দেশে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে কালিয়াকৈরে অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আল বেলাল জানান, এখানে প্রায় ৩০/৩২টি অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের মধ্যে ৯টি বন্ধ করা হলেও আবার কিভাবে চালু হল? তা আমার জানা নেই। তবে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, কয়টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডাযাগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, সে গুলোর সঠিক তালিকা আমার কাছে হস্তান্তর করেনি। সঠিক তালিকা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অভিযান পরিচালনা করা হবে।