
রেজাউল করিম:
নরসিংদী সদর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে গভীর নলকূপ প্রদানের প্রলোভন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার বাগহাটা গ্রামের তোজাম্মেল, তার ছেলে শাহীন ও ছেলের বউ লিপি বেগম মিলিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা গা-ঢাকা দিয়েছেন এবং এখন তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
লিপি বেগম নিজেকে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পরিচয়ে নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি গভীর নলকূপ (ছামা) প্রদানের কথা বলে, লোকজনের কাছ থেকে ষোল হাজার পাঁচশত টাকা করে ছয়শত পরিবারের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। ইতিমধ্যে সে বিভিন্ন এলাকায় আট-দশটি ছামা স্থাপনও করেছে। তার দেখাদেখি লোকজনও টাকা প্রদান করেছেন। শাহীন ও তোজাম্মেল তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলতেন, লিপি উপজেলা প্রশাসনে চাকরি করেন এবং তিনি ছামা প্রদানের দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা বলতেন, সরকারি ফি'র টাকা জমা দিলেই ছামা পাওয়া যাবে।
তবে টাকা প্রদানের পর লিপি বেগম নানা অজুহাতে তালবাহানা করতে থাকেন। পরে তদন্ত করে জানা যায়, লিপি উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা নয় এবং তিনি প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন তার বাড়ি খালি, এবং তার স্বামী ও শ্বশুরের সাথে তারা আত্মগোপন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিপি বেগম ও তার স্বামী শাহীন সাহেপ্রতাব এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সামান্য টাকা পরিশোধ করে ছামার যাবতীয় সরঞ্জাম বাকিতে কিনে মানুষের বাড়িতে ছামা স্থাপন করতেন। তারা উপজেলা থেকে বিল উত্তোলন করে বাকি টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার সরঞ্জাম নিয়েছেন।