
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় কৃষক কামরুল গাজীর ফসলি জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ নুরুল হক গাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুল গাজী আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী কামরুল গাজী জানান, কুচাইপট্টি ইউনিয়নের পাঁচকাঠি মৌজায় তার ১.৪১ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ নুরুল হক গাজী ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা জমি দখল করতে চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে কামরুল গাজী ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর শরীয়তপুর জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন, এবং আদালত ওই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নুরুল হক ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক জমি থেকে পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। কামরুল গাজী বাধা দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি ও গালমন্দ করা হয়।
কামরুল গাজী বলেন, "জমি আমাদের, আমরা সেখানে চাষ করি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফসল কেটে নিয়ে গেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং ন্যায়বিচার আশা করছি।"
অন্যদিকে, অভিযুক্ত নুরুল হক গাজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "জমিতে ধানের চারা আমরা রোপণ করি এবং ফসলও আমরা কাটি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞার কাগজ পাইনি।"
গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদ আলম জানান, "অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, পাঁচকাঠি মৌজার ধান কাটা জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। জমির পাশে দাঁড়িয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন কামরুল গাজী।