Date: May 19, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / চট্টগ্রাম / চোখের দৃষ্টি নিয়ে বাঁচতে চায় সাংবাদিক কন্যা অধরা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

চোখের দৃষ্টি নিয়ে বাঁচতে চায় সাংবাদিক কন্যা অধরা

August 04, 2023 08:33:28 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
চোখের দৃষ্টি নিয়ে বাঁচতে চায় সাংবাদিক কন্যা অধরা

রেজাউল করিম, নোয়াখালী:
অধরা মজুমদার। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌমুহনী হাজিপুর গ্রামের মৃত সন্তোষ মজুমদার এর ছেলে সাংবাদিক রিপন মজুমদারের একমাত্র কন্যা। সে  চৌমুহনী পৌরসভার গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যাল দশম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী।

জানা যায়, জন্মের পর থেকে অধরার দুটি চোখের মধ্যে একটি চোখ বন্ধ ছিলো। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জম্মের সাত বছর পর (২০১৩) সালে চিকিৎসা করে তা ভালো হলেও। ২০১৬ সালে ঠিক সেই চোখে সমস্যা দেখা দিলে, প্রাইম হাসপিটাল লিঃ নোয়াখালী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজী মনিরুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে হিকমাহ স্পেশালাইজড চক্ষু হাসপাতালে ঢাকা চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে তাঁর চোখের আরো অবনতি হলে তাকে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপিটাল নেয়া হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসারত রয়েছে।

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌমুহনী হাজিপুর গ্রামের মৃত সন্তোষ মজুমদার এর ছেলে রিপন মজুমদার একজন পেশাদার সংবাদ কর্মী। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কাজ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি সাংবাদিক ইউনিটি ও প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ, দৈনিক বর্তমান দিনকাল, দৈনিক দেশচিত্র, দৈনিক মর্নিং পোস্ট, দৈনিক জনতার অধিকার পত্রিকাসহ বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে চৌমুহনীতে একটি ভাড়া বাসায় বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।

সাংবাদিক রিপন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, সময় যত যাচ্ছে মেয়ের চোখের অবনতিই খারাপের দিকে যাচ্ছে।  আমি নিজেও অসুস্থ আমার সামান্য উপার্জনে মেয়ের চোখের ব্যয়বহুল খরচ চালাবো কিভাবে। আপনার আমার সামান্য সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে ১৬ বছরের ফুটফুটে শিশু অধরা মজুমদার। জন্মের পর থেকে ডান চোখ নিয়ে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে সে। বর্তমানে তাঁর চোখের দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব অধরা মজুমদার কে দেশের বাহিরে নিয়ে গিয়ে কর্নিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান করতে হবে। এ জন্য খরচ হবে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা। শিশুটির পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশেহারা অধরা মজুমদারের বয়স্ক বাবা।

সমাজের বিত্তবানরা হাত বাড়িয়ে দিলে সন্তানের চিকিৎসা সহজ হবে উল্লেখ করে তার সন্তানের সুচিকিৎসার জন্য সকলকে পাশে দাঁড়ানোর বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী, দানশীল, হৃদয়বানদের নিকট সাহায্যের আবেদন তার।