গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন শালনা থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দু’পাশে অনুমোদনহীন চোরাই জ্বালানি তেলের কেনাবেচা চলছে রমরমাভাবে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, শালনা থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ চোরাই তেলের দোকান গড়ে উঠেছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি দোকান থেকে সদর থানা পুলিশের একটি অংশ মাসোহারা হিসেবে প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন তেল ব্যবসায়ী জানান, মাসোহারা না দিলে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়।
অন্যদিকে চলতি মাসে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার আওতাধীন নাওজোড় এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবৈধ জ্বালানি তেল বিক্রির অভিযোগে বাসন থানা পুলিশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং অবৈধ ব্যবসাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন থেকেই যায়, বাসন থানা পুলিশ যখন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবৈধ চোরাই জ্বালানি তেলের দোকান বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে, তখন সদর থানা পুলিশ কেন একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে অনাগ্রহী ও নিশ্চুপ রয়েছে?
সরজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শালনা ব্রিজ অতিক্রম করে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান। স্থানীয়ভাবে দোকানের আকার অনুযায়ী এগুলোকে ‘টং দোকান’ নামে ডাকা হয়। এসব দোকানে ২৪ ঘণ্টা চলে চোরাই তেল কেনাবেচা। দেখা যায়, অনেক দোকানদার বনের জমি দখল করেই অবৈধভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে।
বাসন থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবৈধ চোরাই জ্বালানি তেলের ব্যবসা বন্ধ করে দিলেও আপনার থানা এলাকায় তা এখনো চলছে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে -এমন প্রশ্নে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান বলেন, “দেখি, ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না... হ্যাঁ, ব্যবস্থা নেব।”
(১ম পর্ব)