
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ভাড়ায় চালিত বিআরটিসি বাসের ব্রেক বিকলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শহর (কান্দিরপাড়) থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় জাঙ্গালিয়া রুটে পিডিবি বিদ্যুৎ ভবনের সামনে ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৫২০৫ প্লেটের (১০ নাম্বার) বাসটি চলন্ত অবস্থায় ব্রেক বিকল হয়ে পড়ে। তবে, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, চলন্ত বাসের পেছন থেকে একটি সিলিন্ডার, ট্যাংকের মতো কিছু বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বাসে বালি ও গ্যাস জাতীয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা প্রাণভয়ে বাস থেকে নামার চেষ্টা করেন। তবে, বাসটি ধীরে ধীরে থেমে যাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। বাস থেকে নামার পর জানা যায় যে ব্রেক বিকলের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, এই ধরনের ঘটনা পূর্বেও একাধিক বার ঘটেছে। মাঝেমধ্যে বাস চলতে চলতে বিকল হয়ে যায়, তখন শিক্ষার্থীরা বাস ধাক্কা দিয়ে চালু করার চেষ্টা করেন, যা তাদের জন্য বড় ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। এসব বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পরিবর্তন হলেও তাদের কার্যক্রমে তেমন কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আগের মতোই বাস সংকট, ফিটনেসবিহীন বাস দিয়ে সার্ভিস প্রদানসহ নানা অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হচ্ছে কুবির শিক্ষার্থীদের। বরং এখন সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের ঘটনায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো, এমনকি কোনো শিক্ষার্থীর জীবনও হারিয়ে যেতে পারতো। তখন হয়তো প্রশাসনের চোখ খুলতো। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনতে চাই না, দ্রুত এই সমস্যার কার্যকর সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে সেকশন অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘গাড়ি-মোটরযান যান্ত্রিক বিষয়। আর দুর্ঘটনা তো আকস্মিক ঘটনা। এটা কখন ঘটবে, তা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। তবে আমরা যখনই কোনো বাসে ত্রুটি দেখি, দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাসটিতে যেহেতু বারবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আমরা চেষ্টা করব এটি পরিবর্তন করে নতুন বাস সংযোজন করার।’