
অনলাইন ডেস্ক:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে যুবলীগ নেতা মাজেদুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনের নামসহ ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৮, তাং-১৪-০৬-২০২২। এ ঘটনায় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শান্ত রায় (২৪) নামে একজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশিদ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দিনাজপুর কোতয়ালী থানার দক্ষিণনগর কালিবাজার এলাকার ভবদীশের ছেলে শান্ত রায় (২৪) কে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওসি বজলুর রশিদ আরো বলেন, নিহত মাজেদুর ফুলবাড়ী উপজেলার উসাহার পানিকাটা গ্রামের মাদক কারবারি হাফিজুর রহমানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে হাফিজুর গ্রুপের একজনকে ২৯ বিজিবি মাদকসহ আটক করে। এ ঘটনায় মাজেদুরকে দোষারোপ করে হাফিজ। একটি প্রাইভেট কার নিয়েও তাদের ঝামেলা চলছিল। পুরোনো নানা বিরোধ, মাদক কারবার ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে গত সোমবার রাতে আমতলী মোড়ে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। তারই একপর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিহতের বাবা আজিমুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ জুন সোমবার বিকেলে দক্ষিণনগর কালির বাজার এলাকার ভবদীশের ছেলে শান্ত রায় মাজেদুরকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত একটার দিকে মাজেদুরের সাথে আমার কথা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই শান্ত ফোন করে হাসপাতালে যেতে বলে। হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। আমার ছেলের সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না। কারা আমার ছেলেকে মেরেছে তা শান্ত রায় বলতে পারবে। ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।