
চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে খালে-বিলে মাছ মারবে না জুলেখা। ছাগল-খোয়ার পেয়ে খুশি তিঁনি। জুলেখা সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বলেন, উপজেলা অফিস থেকে ছাগল দুটা পাইছি, ভুসিও দুই পোলটা-দিছে,একটা খোপ পাইছি। এসব পেয়ে এখন ভালই লাগতেছে। ছাগল লালান-পালন করে এখন বাড়াব-বলাব। তিনি খুশি হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সোমবার সকাল সোয়া ১১ টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ছাগল খোয়ার,খাদ্য ও ঔষধ উপকরণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, খালে-বিলে চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ ধরা জেলেদের হাতে ছাগল খোয়ার,খাদ্য ও ঔষধ উপকরণ বিতরণ করেন।
এ সময় চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের ইয়াকুব হাওলাদার বলেন, সরকার আমাদের, দুইটা ছাগল, একটা ঘর, আর ছাগলের ভুসি দিছে। আগে আমরা মাছ ধরতাম এই কারণে দিছে। তিনি এসব উপকরণ পেয়ে খুবি খুশি।
শৌলপাড়া ইউনিয়নের কালু দাস বলেন, ছাগল দুইটাকে পাইলা পুইসা বড়-টর কইরা আরও বেশী হওয়ামু। আমার ভালো-লাগতেছে। খুশি হমু না!
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মোঃ মইনউদ্দিন।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস অফিসার বলেন,পালাশ হালদার, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে খাল বিলের জেলেদেরকে তাদের বিকল্প পথ হিসাবে এই উপকরণ দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২০ জন গরিব জেলেকে ২ টা করে ছাগল,১ টা খোয়ার, ১০ কেজি ভুসি সহ ছাগলকে ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক ঔষধ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বাকী ইউনিয়ন গুলোতে দেয়া হবে বলে জানান।