
শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলায় ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষকে বাঘ ও হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সচেতনতামূলক সভা করেছে ঝিনাইগাতি উপজেলা প্রশাসন।
ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা হল রুমে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সীমান্তের গারো পাহাড় এখন গভীর জঙ্গলে পরিণত হওয়া, বাঘ ও হাতির আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে গ্রামবাসীকে আতংকিত না হওয়ার এবং সাবধানে পথ চলার জন্য মাইকিং করে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে বাঘটি কি প্রজাতির তা চিহিৃত করতে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কোন অবস্থাতেই প্রাণীটি হত্যা করা যাবে না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা উল্লেখিত গ্রামগুলোতে প্রচারণা চালানো হবে বলে ইউএনও ফারুক আল মাসুদ জানান।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ওই উপজেলার গ্রামগুলোতে বাঁকাকূড়া, পশ্চিম বাকাকূড়া, গান্ধিগাঁও, হালচাটি ও ছোট গজনি গ্রামের ১০টি ছাগল খেয়েছে বাঘ। আহত করেছে ১টি ভেড়া, ১টি গরু। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষ এখন বাঘ আতংকে রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, বাঘগুলো দেখতে লম্বা প্রায় ৪ ফিট ও উচ্চতা প্রায় ৩ ফিট।
জরুরি সভায় ঝিনাইগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, গজনি ও রাংটিয়া বীটের বীট অফিসার মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।