
লোকমান হোসাইন:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রাতের আধাঁরে বনায়নের গাছ চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার নকশি বানাইপাড়া গ্রামের জনৈক হাকিম বেপারির পুত্র ফুলু মিয়া বনবিভাগের প্রায় এক একর জমি দখল করে দশ-বারো বছর আগে বনায়নের গাছ রোপণ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৩ জুলাই ফুলু মিয়া এক রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে আতাত করে লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আলম মিয়ার কাছে। আলম মিয়া কিছু লোক দিয়ে গভীর রাতে গাছগুলি কাটা শুরু করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে বিষয়টি পরিদর্শন ও সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গেলে রাংটিয়া রেঞ্জকর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ, বনে প্রবেশে ও ছবি তুলতে বাধা দিয়ে হুমকি দেন। স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা গাছ চুরির বিষয় জেনে যায় তখন রেঞ্জ কর্মকর্তা চোরাই গাছ জব্দ করার কথা বলে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালায়। অথচ এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি। দীর্ঘদিন থেকেই বনের গাছ পালা পাঁচার চক্রের সাথে জড়িত থেকে বর্তমান রেঞ্জকর্মকর্তা বনকে উজাড় করে দিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, গত কালবৈশাখী ঝড়ে সন্ধাকুড়া, রাংটিয়া, গজনী, ছোট গজনী, তাওয়াকুচাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের বনায়নের গাছ পালা ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গাছগুলি বন বিভাগের লোক, লেবার ও কতিপয় দালাল দিয়ে কেটে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে বন বিভাগ। অথচ ঝড়ে পড়া গাছগুলোর বিক্রিত টাকা সংশ্লিষ্ট উপকার ভোগীদের মাঝে যথা নিয়মে বন্টন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। সংশ্লিষ্ট গরীব নিরীহ উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করলে তাদের বনায়নের উপকারভোগী হিসেবে নামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দেন সেই রেঞ্জ কর্মকর্তা। এ ভয়ে অনেক উপকার ভোগী বন কর্মকর্তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে অনিচ্ছুক।
এ বিষয়ে সহকারী বনকর্মকর্তা (এসিএফ) আবু ইউসুফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যারা গাছ চুরির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে রাংটিয়া রেঞ্জকর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের সাথে যোগাযোগ করে অভিযুক্তদের মামলার তথ্য চাইলে তিনি তথ্য না দিয়ে ৩ মাস পরে তথ্য দিবে বলে জানান।